জসিম তালুকদার (চট্টগ্রাম): চট্টগ্রাম কর্ণফুলীর মইজ্জ্যারটেক এলাকায় অভিযান চালিয়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য রাখার দায়ে এবং আবাসিকের ভিতর নোংরা পরিবেশে চামড়া প্রক্রিয়াজাত করার দায়ে এক দোকানদারকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার এ অভিযান পরিচালনা করেন কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনা সুলতানা।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মইজ্জ্যারটেক এলাকায় আলী আব্বাস নামে এক ব্যবসায়ি ঢাকা থেকে অনুমোদিত ইনপোর্টার ও সরবরাহকারী থেকে প্যাকেটজাত হিমায়িত মাংস এনে কর্ণফুলীর বিভিন্ন বাজারের হোটেল রেষ্টুরেন্ট ও স্থানীয় কসাই’র কাছে বিক্রি করছেন। সাধারণ লোকজনের কাছে এসব মাংস গরুর মাংস বলে বিক্রি করে থাকেন। যদিও মাংস গুলো গরুর মাংস কিনা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কারণ অনেকেই জানিয়েছেন দেশে হিমায়িত ভারতীয় ১৮০ টাকার মহিষের মাংসকে গরুর মাংস বলে বিক্রি করা হচ্ছে ৫০০/৬০০ টাকায়।
জানা যায়, দোকানদারের কাছে হিমায়িত ও প্যাকেটজাত মাংসগুলো বিক্রির জন্য কোয়ারান্টাইন সনদও নেই। এছাড়া হিমায়িত মাংস ভোক্তার কাছে পৌঁছা পর্যন্ত ফ্রিজিং চেইনে রাখার বিধান থাকলেও তা অমান্য করে নন-ফ্রিজিং গাড়িতে মাংসগুলো ঢাকা থেকে আনা হচ্ছে। ফলে এসব মাংসের গুণগতমান নষ্ট হয়ে যায়। যা জনস্বাস্থ্যের পক্ষে ব্যাপক ক্ষতিকর।
জানতে চাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনা সুলতানা বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে দোকানটিতে অভিযান চালালে মেয়াদউত্তীর্ণ ৩৫টি পন্ডস ক্রীমের প্যাকেট পেয়েছি। অপরদিকে, বিদেশ থেকে মাংস গুলো এক্সপোর্ট করে বাজারজাত করলেও পরিবেশ ছিল খুব নোংরা। পাশাপাশি আবাসিকের ভিতর চামড়া প্রক্রিয়াজাত করায় ইউনিয়ন, ভোক্তা ও পরিবেশ আইনে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি সতর্ক করা হয়েছে যেন পরিবেশ আইন ভঙ্গ না করেন।’
অভিযানে পাওয়া মেয়াদউত্তীর্ণ পণ্য গুলো সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে পুড়িয়ে ফেলা হয়। এতে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা, সিএমপি কর্ণফুলী থানার পুলিশ ও আনসার সদস্য। অননুমোদিত ও ভেজাল খাদ্য উৎপাদন, সংরক্ষণ এবং বাজারজাতকরণের বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।